২৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। স্বামী, শ্বশুরবাড়ি নিয়ে ভালোই আছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। বিয়ের আগে তাঁর আইবুড়ো ভাত হয়নি। ফলে সেই স্বাদ অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল অপরাজিতার। বাঙালি বাড়ির ‘স্পিন্সটার মিল’-এর (আইবুড়ো ভাত) কিছু নিয়ম থাকে। থালার চারপাশে সাজানো হয় বাটি। সেই সব বাটিতেই সাজিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চব্যঞ্জন। থালায় থাকে গরম ভাত, ঘি, লেবু, লঙ্কা… প্রথা মেনে দিতে হয় মাছের বড় মাথাও। আর ঠিক সেইভাবেই আইবুড়ো ভাত খেলেন অপরাজিতা। ভাবছেন, হঠাৎ আইবুড়ো ভাত কেন? এর উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।

একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অপরাজিতা আঢ্য। পিকনিক স্পট থেকে তোলা। আসলে নতুন বছরে পা রেখেই চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন দল বেঁধে। লাল রঙের সোয়েটার পরেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর সামনে সাজানো অনেকরকমের পদ। ভাত, মাছ, মাংস, মাছের মাথা, ডাল, ভাজা… ইত্যাদি।

অপরাজিতাকে বলতে শোনা যায়, “আমি এসেছি পিকনিকে। কিন্তু আমাকে খেতে দেওয়া হচ্ছে, যেন আমার আইবুড়ো ভাত হচ্ছে। পুরো জামাই আদর করার মতো। আমার নিজের সেরকমই একটা অনুভূতি হচ্ছে। আমার যেহেতু বিয়ের সময় আইবুড়ো ভাত হয়নি, তাই আজকে আমার আইবুড়ো ভাত হচ্ছে।”

এই ‘আইবুড়ো ভাত’ অপরাজিতাকে দেওয়া হয়েছে শ্বশুরবাড়ি থেকেই। অভিনেত্রী প্রাণভরে খেতে বসেন পাত পেড়ে। আসলে আট বছর এই পিকনিকে আসেননি অপরাজিতা। শুটিং ও নানা কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। ফলে এতকিছু আয়োজন করা হয় অপরাজিতার জন্য।

বছরের শেষটা একটু অন্যরকমভাবে কাটিয়েছেন অপরাজিতা। পথশিশু ও রাস্তায় থাকা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন উপহার। বাড়িতে জমিয়ে পার্টি করেছেন তিনি। আনন্দে নেচেছেন। আর বছরের শুরুতেই পিকনিক। ইনস্টাগ্রাম